Logo
HEL [tta_listen_btn]

বন্দরে শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা

বন্দরে শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা

বন্দর সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর ইউনিয়নের পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান ও তার লোকজন মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেন নিজাম উদ্দিন নামে এক স্কুল শিক্ষককে। এ ঘটনায় মারধরের শিকার শিক্ষকের ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। এদিকে একই অভিযোগে পাল্টা মামলা করেছেন ইউপি মেম্বার মিজানুর রহমানও। ওই মামলা আসামি করেছেন মারধরের শিকার শিক্ষকসহ তার আত্মীয়স্বজনদের। গত বুধবার (২ ডিসেম্বর) বন্দর থানায় দু’টি মামলাই রেকর্ড হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দিন ভূইয়া। তবে দুই মামলারই কোনো আসামি এখনও গ্রেফতার হয়নি বলে জানান তিনি। মারধরের শিকার শিক্ষক নিজাম উদ্দিনের ভাই আশাব উদ্দিন মামলার এজাহারে বলেন, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময় হয়রানি ও জমি দখলের চেষ্টা করছে। স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে চেষ্টা করেও কোনো প্রকারের সমাধান হয়নি। গত ১ ডিসেম্বর সকাল ১১টার দিকে মেম্বার মিজানুর রহমান, তার ভাই মোজাম্মেল, বোন সুফিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জন বন্দরের বেজেরগাঁও মায়াপুর এলাকায় তাদের বাড়িতে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় শিক্ষক নিজাম উদ্দিনের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করা হলে গুরুতর জখম হন তিনি। নিজাম উদ্দিনসহ তাদের পরিবারের লোকজনকে আহত করা হয়েছে। তাদের বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা, চারটি স্মার্টফোন নিয়ে যায়। এদিকে পাল্টা মামলায় মেম্বার মিজানুর রহমান একই অভিযোগ করেন। তিনি এজাহারে বলেন, একই দিন একই সময়ে নিজাম উদ্দিন, তার ভাই বাহাউদ্দিন, আশাব উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন মেম্বারের জমিতে কাজ করা অবস্থায় শ্রমিকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় শ্রমিক হাসান (২০) আহত হন বলেও মামলায় উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে শামসুজ্জোহা এম বি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিজাম উদ্দিন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। তারপরও মেম্বার ও তার বাড়ির লোকজন প্রভাব খাটিয়ে জোর করে এই জমি দখল করতে চায়। তার প্রতিবাদ করলে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে আহত করে। মারধরের শিকার হলাম আমরা অথচ আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হলো। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার চাই। এদিকে এ বিষয়ে জানতে বন্দর ইউনিয়নের পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমানের মুঠোফোনের নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com